সমাজসেবা অধিদফতর সরকারের অন্যান্য জাতিগঠনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৫৫ সালে দেশে সমাজকল্যাণ কার্যক্রম শুরু হলেও ১৯৬১ সালে সমাজসেবা পরিদফতরের সৃষ্টি হয়। ষাটের দশকের সৃষ্টিকৃত পরিদফতরটিই আজ সমাজসেবা অধিদফতরে উন্নীত হয়েছে।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় বস্তি সমস্যাসহ নানা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যা নিরসনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে Urban Community Development Board, Dhaka-এর আওতায় ১৯৫৫ সালে শহর সমাজসেবা কার্যালয় এবং সমাজকল্যাণ পরিষদের আওতায় হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ১৯৪৩ সালের বঙ্গীয় ভবঘুরে আইন, ১৯৪৪ সালের এতিম ও বিধবা সদন আইনের আওতায় পরিচালিত ভবঘুরে কেন্দ্র (সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র), রাষ্ট্রীয় এতিমখানা (সরকারি শিশু পরিবার) পরিচালনার দায়িত্ব ১৯৬১ সালে গ্রহণ করে সৃষ্টি হয় সমাজকল্যাণ পরিদফতর। পরবর্তীতে সমাজসেবা কার্যক্রমের ব্যাপক সম্প্রসারণ ও বিস্তৃত্তির কারণে ১৯৭৮ সালে সরকারের একটি স্থায়ী জাতিগঠণমূলক বিভাগ হিসেবে উন্নীত হয়ে ১৯৮৪ সালে সমাজসেবা অধিদফতর হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
উপজেলা পরিষদ তারাকান্দা, ময়মনসিংহের ২৬.০৮.২০২০ তারিখের মাসিক সমন্বয় সভায় ইনথি বাস্তবায়ন,এমআইএস,ডিআইএস, তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ ডিরেক্টরি সহ অন্যান্য অনলাইন কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সমাজসেবা অফিসকে জনবান্ধব অফিস রূপে পরিনত করার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় তারাকান্দা, ময়মনসিংহকে শতভাগ ডিজিটাল অফিস হিসাবে রেজুলেসন করে স্বীকৃতি প্রদান ও সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।
সমাজ দর্শন এবং উন্নয়ন কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিশাল কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত সমাজকর্মীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে সমাজসেবা ভবন উদ্বোধনলগ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২ জানুয়ারিকে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ ঘোষণা করেন। ৪ জুন ২০১২ তারিখের মন্ত্রিসভা বৈঠকে জানুয়ারি মাসের ২ তারিখকে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ ঘোষণাপূর্বক দিবসটিকে ‘খ’ ক্যাটাগরি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
ইনথি বাস্তবায়ন,এমআইএস,ডিআইএস, তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ ডিরেক্টরি সহ অন্যান্য অনলাইন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য সমাজসেবা অধিদফতর ২০১৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ পদক লাভ করে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস